পরিবারের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণের জন্য আইনগতভাবে একটি সনদের প্রয়োজন হয়, যা ওয়ারিশ সনদ নামে পরিচিত। এটি উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির স্বত্ব ও উত্তরাধিকারের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়।
ওয়ারিশ সনদ হলো একটি সরকার অনুমোদিত নথি, যা নিশ্চিত করে যে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী কারা। এই সনদ ছাড়া কোনো ব্যক্তি মৃত স্বজনের ব্যাংক হিসাব, জমি বা অন্যান্য সম্পত্তির মালিকানা দাবি করতে পারেন না। এটি পারিবারিক বিরোধ নিরসন, সম্পত্তির হস্তান্তর, এবং ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়ারিশ সনদ সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র, মৃত ব্যক্তির নাম, ওয়ারিশদের তালিকা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর যাচাই করে এই সনদ প্রদান করেন।
জমি ও সম্পত্তির মালিকানা নিশ্চিত করতে।
ব্যাংক হিসাব হস্তান্তর ও লেনদেনের জন্য।
বীমা ও পেনশন দাবির জন্য।
আদালতে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলায় প্রয়োজন।
সঠিক তথ্য ও নথিপত্র প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হতে পারে (অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে)।
এটি সাধারণত ৭-১৫ দিনের মধ্যে ইস্যু করা হয়।
ওয়ারিশ সনদ পারিবারিক সম্পত্তির আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি যথাযথভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত কোনো জটিলতা দেখা না দেয়। তাই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রেখে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা বুদ্ধিমানের কাজ।